দেশের কয়েকটি  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বোরকা পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ ঘটনায়  জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আগামী দুই মাসের মধ্যে শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ১১ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান ও অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আলী মণ্ডল বলেন, রিট শুনানির সময় আদালত মন্তব্য করেছেন ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে হিজাব-বোরকা পরা সাংবিধানিক অধিকার।

আইনজীবী বলেন, বোরকা ও হিজাব পরায় ১৫ স্কুলে স্কুলছাত্রী ও অভিভাবক হয়রানির ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যেনাত পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মোহাম্মদ মাহবুব আলম।

রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে নির্ধারিত স্কুলড্রেসের ওপর বোরকা পরায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। গত মাসে ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বোরকা পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা সংযুক্ত করে সম্পূরক আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ তদন্তের নির্দেশ দেন।

এমএইচডি/জেডএস/এসএম