পি কে হালদার

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পি কে হালদারের ১০ তলা বাড়িসহ ৭০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক করা জমিগুলোর বেশির ভাগই তার। কিছু অংশ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, এদিন দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৫৯ একর জমির আদেশ দেন।এর আগেও আদালত ১১ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। ক্রোক করা জমির ওপর একটি ১০ তলা ভবনও রয়েছে। ক্রোক করা জমির বড় অংশ পড়েছে রূপগঞ্জে। এই ক্রোককৃত জমিগুলোর বেশির ভাগই তার। কিছু অংশ তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নোটিশ দেয় সংস্থাটি। এর আগে ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ঠিকই দেশ থেকে পালিয়ে যান। পরে দেশে ফেরার কথা বলেও আর ফেরেননি। 

গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল। পি কে হালদারের প্রতারণায় সহায়তাকারী ২৪ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদক এখন পর্যন্ত তার সহযোগী হিসেবে ৬২ জনকে শনাক্ত করেছে।

টিএইচ/এমএআর/ওএফ