রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আম্বিয়া খাতুন নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় পলাতক আসামি শফি উদ্দিনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী নারগিস আক্তার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার খামার কুর্শা গ্রামের সোলায়মান আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিনের ছেলে শফি উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ১৯৯৫ সালের ১২ জুলাই আসামি শফি উদ্দিন ছুরি নিয়ে সোলায়মানের বাড়িতে এসে তার খোঁজ করতে থাকেন। ওই সময় সোলায়মান বাড়িতে ছিলেন না। শফি উদ্দিনকে থামাতে সোলায়মানের স্ত্রী আসমা বেগম ও ভাতিজি আম্বিয়া খাতুন এগিয়ে আসলে আসামি স্কুলছাত্রী আম্বিয়া খাতুনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আম্বিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। এ সময় আসামি শফি সোলায়মানের স্ত্রী আসমা বেগমকেও কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আম্বিয়া বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আম্বিয়া খাতুনের চাচা সোলায়মান আলী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আসামি শফি উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৯ মার্চ শফি উদ্দিনকে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে সোমবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। 

এমএইচডি/ওএফ