মাদক মামলায় এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন- এমন অভিযোগ এনে ‘নির্দোষ’ মানিককে মুক্তি দিতে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ৭ মার্চ (রোববার) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায়। ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছু দিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক।

মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালতে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। আসামিরা হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মানিক মিয়া।

মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি হচ্ছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চাঁন ব্যাপারী কান্দী গ্রামে। আমার বাবার নাম নজরুল ইসলাম, আর মায়ের নাম রেজিয়া বেগম।

অন্যদিকে মামলার যে প্রকৃত আসামি মানিক মিয়া। তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম হচ্ছে মালতকান্দি। সখিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মানিক মিয়ার স্থলে শুধু নামের মিল থাকার কারণে মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এমএইচডি/এসএম