কোনো নোটিশ ছাড়া যেকোনো কর্মকর্তাকে অপসারণে দুদকের বিধি চ্যালেঞ্জ করে দুদকের চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের করা রিটের শুনানি মুলতবি রাখা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। 

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এই সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষকে লিখিত যুক্তিতর্ক আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। 

আরও পড়ুন : শরীফের বিরুদ্ধে ১৩ অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন দুদক সচিব

আদালতে শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বলেন, শরীফ উদ্দিনকে কোনো কারণ দর্শানো চাড়া চাকরি থেকে অপসারণ করেছে। বরখাস্ত হয়ে এখন তিনি দোকানদারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাহলে তিনি কি দোকানদারিই করে যাবেন? 

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়া যেকোনো কর্মকর্তাকে অপসারণে দুদকের চাকরি সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি নিয়ে দুদকের আপিল আমরা শুনানি করি। দুদকের আপিল যদি খারিজ হয়ে যায়,তাহলে শরীফের চাকরি ফিরে পাওয়ার দ্বার খুলে যাবে। আর আপিল যদি অ্যালাউ হয় তাহলে ভিন্ন কথা।  
এরপর আপিল বিভাগ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৯  ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ১৬ জুন হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়।

২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক। ওই বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ক্ষমতা দুদকের রয়েছে। এরপরই চাকরিচ্যুতি ও ৫৪(২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শরীফ। গত ১৩ মার্চ চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বরখাস্ত হওয়া দুদকের আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। 

আরও পড়ুন : অপসারিত দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরি ফেরতের আবেদন নাকচ

চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকা কালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। 

সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি। 

এমএইচডি/এনএফ