রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় পরিবহন শ্রমিক ইমরান হোসেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আট আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, মো. মুস্তাকিম, খালেদ হাসান ওরফে শুভ, মো. আরিফ হোসেন, তানজিল মিয়া, রমজান মোল্লা, রাসেল, শহীদ শেখ ও আরিফ সরদার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

আজ মামলার এজাহার গ্রহণ করে একই আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। 

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় সিটি টোলের নামে চাঁদা উত্তোলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে পরিবহন শ্রমিক ইমরান হোসেন (৩৫) খুন হন। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার।

আরও পড়ুন : যাত্রাবাড়ীতে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের বলি ইমরান

মামলার আসামিরা হলেন, স্থানীয় ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুম মোল্লাসহ (৫০), আকরাম উজ্জামান ওরফে উজ্জ্বল মোল্লা (৩৫), মো. মুস্তাকিম (২৮), মো. শুভ (২৪), মোহাম্মদ আলী (২৭), মো. আরিফ (৩৮), তানজিল মিয়া (২৪), বুলু বাবু (৫০), পলাশ (২৭), মো. জামাল (৩০), রাজিব (২৮), রমজান মোল্লা (৩৭), জাহিন (৪০), মো. দেলা (৩৮), মো. হাসান (২৯), মো. সাগর (২৭), মো. রাজু (২৫), মো. সুমন (২৫), ফয়সাল (২৫), পারভেজ (২৬), মো. সোহেল (২৯), মো. রাজন (২৫)। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. ইমরান পেশায় পিকআপচালক। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলা নয়ানগরে ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করতেন। পাশাপাশি কাঁচা বাজারে পিকআপ, ট্রাকের কুলি মুজুরির টোল আদায় করতেন ইমরান। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাঁচা বাজারের উদ্দেশে রওনা হন ইমরান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পান টোল আদায়কে কেন্দ্র করে তার স্বামী খুন হয়েছেন।  

পপি বলেন, রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১১টা ৫০ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় ইমরানকে তার কর্মস্থলে টোল আদায়কালীন অবস্থায় হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এনআর/এসকেডি