যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভাষা শহীদদের সম্মানে এই খালাসের রায় বাংলা ভাষায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত।

আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ বলেন, আদালত আজ বাংলায় রায় দিয়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

২০১৭ সালের ১৭ মে যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল্লাহ যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর বাবুপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে।

যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) অমিত কুমার দে এ রায় দেন। পরে ফাঁসির রায় থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আবদুল্লাহ।

২০১১ সালে আবদুল্লাহর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে পালসার মোটরসাইকেল দাবি করেন আবদুল্লাহ।

দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন আবদুল্লাহ। পরে ২০১২ সালের ৯ জুলাই ভোরে মারধরের পর গায়ে কেরোসিন দিয়ে সালমাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় নিহত সালমার বাবা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আবদুল্লাহ, তার বাবা, মা ও ভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১২ সালের ১১ নভেম্বর আবদুল্লাহ ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান শেখ। পরে চার্জ গঠনের সময় বাবাকে বাদ দিয়ে আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করেন আদালত।

এমএইচডি/কেএ