সাবিহা মেহজাবিন ঐশী। জন্ম ঢাকায়। বাবা সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশব-কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে। সেনানিবাসের কঠোর-নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন ঐশী যুক্তরাজ্য থেকে সম্মানজনক ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ লাভ করেন। তিনি গ্লোবাল স্কলারশিপ পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি নারী।

ঐশী বর্তমানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আইনের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সমাজের অসহায় মানুষের পাশের দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে ‘গোপ্রোবোনো’ নামে একটি অনলাইন অ্যাপস তৈরি করছেন তিনি। বিনামূল্যের এই অ্যাপসের মাধ্যমে যে কেউ আইনি সহায়তা চাইতে পারবেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ঐশী তার জীবনের গল্প বলেছেন ঢাকা পোস্টের কাছে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিম

পারিবারিক পরিচয়

১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় জন্ম। আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় ঢাকায় কেটেছে। সেনানিবাসের পরিবেশে বড় হয়েছি। বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ (এনডিসি, পিএসসি)। এখন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার মা সৈয়দা নুরুন নাহার একজন কৃষিবিদ। আমার আরেক এক বোন রয়েছেন। বাবার মতো সেও একজন সেনা অফিসার। আমার পিতামহ বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন এবং আমার দাদি স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। আমার দাদা একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন এবং আমার নানি ছিলেন একজন গৃহিণী।

ছোটবেলার দিনগুলো

বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকতে হয়েছে। দেখেছি অপরূপ উত্তরবঙ্গ, তেমনি পূর্বের সবুজ-শ্যামল বাংলার প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছি। দক্ষিণ-পশ্চিম জুড়ে ভ্রমণ করেছি। আমি বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। বেশিরভাগ সময় ক্যান্টনমেন্টে বসবাস করেছি। শৈশব থেকে এ পর্যন্ত পুরো জীবন-বেড়ে ওঠা— আমার পরিবার এবং বন্ধুদের ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।

কেন এবং কার অনুপ্রেরণায় আইন পড়লেন?

জ্ঞান হওয়ার পর থেকে নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাংলাদেশে বৈষম্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অসুবিধাগুলো উপলব্ধি করেছি। ছোটবেলা থেকে আমি নিজেও মানুষকে ন্যায় বিচার পাইতে দিতে ভূমিকা রাখতে চেয়েছি। আমার বাবা-মা আইন পড়তে আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তারা অনুপ্রাণিত করেছেন ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে, সঠিক পথে চলতে। বাবা-মায়ের কারণে আজ আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

সহশিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐশী / আন্ডারগ্রেড সমাবর্তনের দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে সাবিহা মেহজাবিন ঐশী

বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ার দিনগুলো

নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে আমার দিনগুলো অসাধারণ ছিল। গ্যালারি থেকে প্লাজা এলাকায় ঘোরাঘুরি আর এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যেতে যেতে আমার দিন কেটে যেত। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে খুব সক্রিয় ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ ক্লাবের কার্যনির্বাহী বোর্ড কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলাম। আমি একজন উৎসাহী মুটার, একজন মুটিং প্রশিক্ষক এবং একজন মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলাম। ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং NSU CTRG-এর জন্য একজন গবেষণা সহকারীও ছিলাম। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অনেক প্রতিযোগিতায় জিতেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ২য় বর্ষে যুক্তরাজ্য থেকে সম্মানজনক ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ পাওয়া দুজন বাংলাদেশির মধ্যে আমিও প্রথম একজন। নর্থসাউথের আমার শিক্ষকরা চমৎকার, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং আন্তরিক ছিলেন। ইউনিভার্সিটির সময়টা সবসময় মনে রাখব।

ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে চাই

ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ সারা বিশ্বের আইন শিক্ষার্থীদের দেওয়া সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বৃত্তিগুলোর মধ্যে একটি। আইনের ক্ষেত্রে একটি অসামান্য ফলাফল থাকতে হবে। তাদের পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে জড়িত থাকতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকতে হবে। এই বৃত্তি পেতে আবেদন করার জন্য মেধাবী শিক্ষার্থী ও নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগ দ্বারা মনোনীত এবং অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে হবে এবং কাজের সমস্ত প্রমাণ থাকবে। এর পরে, যদি তাদের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়, তখন ডিএলএ পাইপারের একজন আইনজীবী/অংশীদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য বসতে হবে। একটি জোরালো স্ক্রিনিংয়ের পর বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত খরচ, যাতায়াত ও বাসস্থানের খরচ ইত্যাদির জন্য দেওয়া হয় এই বৃত্তি।

ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ পাওয়ার অনুভূতি বলুন?

আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষে থাকা অবস্থায় মর্যাদাপূর্ণ ডিএলএ পাইপার গ্লোবাল স্কলারশিপ পেয়েছি। এই স্কলারশিপ প্রাপ্ত ২ জনের মধ্যে আমিই প্রথম বাংলাদেশি নারী, যে এই বৃত্তি পেয়েছি। এটি শুধুমাত্র বিশ্বের শীর্ষ ৫ শতাংশ আইন শিক্ষার্থীদের উচ্চতর সিজিপিএ, ইসিএ এবং নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য দেওয়া হয়েছিল। সারা বিশ্বের অনেক প্রতিভাবান আইন ছাত্রের মধ্যে এই সম্মানজনক বৃত্তি প্রাপ্তদের একজন হতে পেরেছি। এই বৃত্তির মাধ্যমে এলএলবি এবং এলএলএম এর জন্য অর্থ পেয়েছি। এর ফলে রোম ও লন্ডনে আমার আইনি প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। বিভিন্ন আইনি এবং লিডারশিপ কোর্সে অংশ নিতে সক্ষম হয়েছি। এই বৃত্তি আমার জীবন বদলে দিয়েছে।

অক্সফোর্ডের লিডারশিপ স্কলারশিপ সম্পর্কে বলুন?

আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেড বিজনেস স্কুল থেকে আমার পিজিএফ সম্পন্ন করেছি। এর খরচ ডিএলএ পাইপার থেকে এবং ডিএলএ পাইপারের সহযোগিতায় আমার বৃত্তির মাধ্যমে কভার করা হয়েছে। পিজিএফ-এর মাধ্যমে ‘আইনের শাসন’, ন্যায়বিচারে অ্যাক্সেস এবং আইনে নেতৃত্বের ব্যবহারিক দিকগুলো সম্পর্কে শিখেছি। এই সুযোগ পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সে মেধাবী হতে হবে, ভালো ইসিএ, গবেষণার মানসিকতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে। এই সমস্ত দিক নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।

আপনার সামাজিক কাজ সম্পর্কে জানতে চাই

২০১৯ সালে আমি বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী আইনগত জ্ঞান প্রদান এবং জনগণকে তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে অসচেতনতা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফোরাম ফর লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স প্রতিষ্ঠা করি। বাংলাদেশ ফোরাম ফর লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের অনলাইনে নিজস্ব জনপ্রিয় ওয়েবিনার রয়েছে, কথা বলা এবং আইনি প্রশ্ন ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। এনজিওটি বিডিএলপি এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সহযোগিতায় অপ-এড রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে একাধিক সেমিনার এবং সম্মেলন হয়েছে। এনজিওটি এ পর্যন্ত ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে তাদের আইনগত অধিকার ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে শিক্ষিত করেছে।

যারা আইন পড়তে চায় তাদের জন্য পরামর্শ

যারা আইন অধ্যয়ন করতে চান তাদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো, তারা যেন প্রথম থেকেই তাদের পড়াশোনাকে গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং প্রতিদিন শেখার জন্য উৎসাহী হয়। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, আইন মুখস্থ করাই সবকিছু নয়, বিষয়টির আইনি বিচার ও প্রয়োগ বুঝতে হবে। শিক্ষার্থীদের উচিত বেশি বেশি আইনি সম্মেলন, সেমিনারে নিজেদের সম্পৃক্ত করা।

নারীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?

আমি বিশ্বাস করি, নারীরা আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড। সংসার দেখাশোনা থেকে শুরু করে দেশ পরিচালনায় নারীরা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য তাদের স্বাধীন হতে দিতে হবে। আমি সব নারীকে তাদের স্বপ্নের সঙ্গে আপস না করে স্ব-নির্ভরতার পথ গ্রহণ করার কথা বলি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছেন নারীর ক্ষমতায়নের সুফল কী এবং কীভাবে একটি দেশের ভাগ্য ধরে রাখতে পারেন। আমাদের সবার উচিত সেই সমস্ত নারীদের একজন হতে মনের ভেতর আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা রাখা, যারা এই বিশ্বে প্রভাব ফেলেছেন।

বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বলুন?

আমি বর্তমানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আইনের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মুট ক্লাবের সহকারী প্রক্টর এবং ক্লাব ফ্যাকাল্টি উপদেষ্টা। বর্তমানে ব্যক্তিগত গবেষণায় সময় ব্যয় করছি এবং আসন্ন প্রকল্প ও এনজিওর সঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের অ্যাক্সেস নিয়ে সমস্যা দূর করতে GoProbono নামে একটি ওয়েবভিত্তিক এবং মোবাইল ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করছি। শিগগিরই অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করা হবে।

ঢাকা পোস্ট প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিমের সঙ্গে কথা বলছেন সাবিহা মেহজাবিন ঐশী

আপনার জীবনের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন?

জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হলো যখন আন্ডারগ্রেড সমাবর্তনে আমিই আমার সেশন থেকে একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম যে ‘ম্যাগনা কাম লাউড’ ডিস্ট্রিঙ্কশনে স্নাতক হয়েছিল। সেদিন পরিবারকে আমার সঙ্গে মঞ্চে ডাকা হয়েছিল। সে সময় আমি তাদের চোখে অপরিসীম গর্ব দেখতে পেয়েছি এবং এটি এখন আমার আজীবনের প্রিয় স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমার জীবনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্মৃতি রয়েছে, যা আজকের আমাকে তৈরি করেছে। ২০১৪ সাল, যখন আমার বাবা রংপুর সেনানিবাসে ছিলেন, তখন আমি আমাদের দেশের ‘হার্মাফ্রোডাইট’ সম্প্রদায়ের দ্বারা আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাই। সেই সময়ে আমি তাদের ভয়ংকর গল্প শোনার সুযোগ পেয়েছি। সেই কথা মাথায় রেখে সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের একজন ফেলো হওয়ার জন্য আবেদন করি। এটি এমন একটি ফাউন্ডেশন যা আমাদের দেশে হার্মাফ্রোডাইটদের অধিকারের জন্য কাজ করে। আমি গবেষণা সম্পাদন এবং একটি নীতি প্রণয়ন ও তাদের পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য গবেষণাপত্র লেখার সুযোগ পেয়েছি। তাদের জীবিকা নির্বাহ ও স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেছিলাম। ২০১৯ সালে সালে BSWF এবং USAID থেকে আমার কাজের জন্য পুরস্কার পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, এ কাজের মাধ্যমে সমাজে একটি ছোট প্রভাব ফেলেছি। এরপর থেকে আরও কিছু করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

আপনার স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আমি আমার কাজের স্বাক্ষর এই পৃথিবীতে রেখে যেতে চাই। পরিবারকে গর্বিত করতে চাই এবং কাজের মাধ্যমে সবার কাছে স্মরণীয় হতে চাই। সমাজের বর্তমান চিত্র পরিবর্তন করতে চাই। দেশে ন্যায়বিচারের অ্যাক্সেসের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ‘গোপ্রোবোনো’ নামে একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ শেষ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে। এটি একটি বিনামূল্যের অ্যাপ, যেখানে যে কেউ আইনি সহায়তা চাইতে পারে এবং প্রতিকার পেতে পারে। আমি এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে সফল করতে এবং দেশের মানুষকে সাহায্য করতে চাই। যাদের কাছে ন্যায়বিচার একটি নিছক স্বপ্ন।

এমএইচডি/এসএম