ফাইল ছবি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে এ হত্যা মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
  
তিনি বলেন, আজ মামলাটির সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন কারাগারে থেকে সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা শিক্ষিত এবং হোয়াইট কলারের অপরাধী হওয়ায় জামিন পেলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। সেজন্য আসামিদের বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখতে অভিযোগপত্রে জোর আবেদন জানান তিনি। 

এতে আরও উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

টিএইচ/এসএম