ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ/ ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে (৪৫) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোম্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার। 

আদালতে আসমিপক্ষে ছিলেন- আইনজীবী অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জামিন দেওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ নভেম্বর ওই ঘটনায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

একইসঙ্গে মামলা দুটির চার্জশিটে গ্রেফতারকৃত আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চার জন এখনও পলাতক রয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু (২৬), জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামাল (৫২), নূর হোসেন বাদল (২২), আব্দুর রহিম (২০), মোহম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম (২৩), সামছুদ্দিন সুমন ওরফে কন্ট্রাক্টর সুমন (৩২), ইস্রাফিল হোসেন মিয়া (২১), মাইন উদ্দিন সাজু (২১), নূর হোসেন রাসেল (২৯), আনোয়ার হোসেন সোহাগ (২৪), আব্দুর রব চৌধুরী ওরফে লম্বা চৌধুরী (৫০), মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আরিফ (১৯), মিজানুর রহমান ওরফে তারেক (২০), মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার (৪৫)।

প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ পাঁচ তরুণ। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে আটকও করা হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়।

এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চিৎকার করে আরেকজন। 

এমএইচডি/এফআর