প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে ছুরিকাঘাতে কিশোর আরিফ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি জহিরুল ইসলাম জনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব তালুকদার আসামি জনিকে চিকিৎসা শেষে আদালতে হাজির করেন।একইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।তবে এদিন জনির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বনানী থানা পুলিশ জনিকে গ্রেফতার করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে নেশাদ্রব্য (ড্যান্ডি) খাওয়া নিয়ে জনির সঙ্গে হাসান ও সোহাগের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জনিসহ তার সহযোগীরা হাসান ও সোহাগকে ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর জনৈক সোহেল মহাখালী সাততলা বস্তিতে আহত হাসানের ভাই রবিনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রবিন তার বন্ধু এবং ওই ঘটনার ভিকটিম আরিফসহ আরও প্রায় ছয়-সাত জন মিলে মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে জনি ও তার সহযোগীদের মারধর শুরু করে। এ সময় জনি ছুরি দিয়ে ভিকটিম আরিফের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

মুমূর্ষু অবস্থায় আরিফকে প্রথমে মেট্রোপলিটন হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আরিফের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত আরিফের বাবা বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

টিএইচ/জেডএস