দেহরক্ষীকে অভিযুক্ত করে ইরফান সেলিমের অব্যাহতি চেয়ে চার্জশিট
র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেন
চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের অব্যাহতির আবেদনে সুপারিশ করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অভিযুক্ত করে দুই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তার অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তার দেহরক্ষী জাহিদুলের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
তবে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, তাদের কাছে এখনো প্রতিবেদন আসেনি।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করেন ইরফানের লোকজন। এসময় তাকে মেরে ফেলার হুমকি ও তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ইরফান সেলিম, দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওইদিন দুপুরে পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
পরদিন র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
টিএইচ/এসআরএস