মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই আসামির বিচার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন, জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ।

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআর) শাখা থেকে সোমবার (৪ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অপ্রাপ্তবয়স্বকদের বিচারের জন্য মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এ বদলির আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত পলাতক আসামি মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি’র ইন্সপেক্টর আব্দুল হক এ মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, শাহিন, বাচ্চু মিয়া, বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, রাজু ও মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে মহিন উদ্দিন পলাতক।

আসামি জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে যান তাছলিমা বেগম রেনু। সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। 

টিএইচ/এসআরএস