হাইকোর্টের সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ধর্ষণ ও হত্যার শিকার’ স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে পৌঁছেছে।

সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা পড়েছে। মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) এ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন।

পাঁচ আইনজীবী হলেন- মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন।

গত ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত আইনজীবী শিশির মনিরকে লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন। এরপর একটি রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে শিশির মনির জানান, গত ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসাকে তারা গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিন্তু ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যেখানে দিসা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে।

এমএইচডি/জেডএস