রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি মহিউদ্দিনের জামিন দিয়েছেন আদালত। দেড় বছর পলাতক থাকার পর গত ২৭ জানুয়ারি মহিউদ্দিন আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তাকে কারাগারে পাঠান।

শুক্রবার (১১ জুন) আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ‘আসামি মহিউদ্দিনকে উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। জামিনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মহিউদ্দিনের আইনজীবী বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ঢাকার ৬ষ্ট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকার আদালতে জামিন নামা দাখিল করেছেন।’

গত ১ এপ্রিল রেনু হত্যা মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই (৬ষ্ট অতিরিক্ত) আদালত।

মামলার অপর দুই আসামি জাফর ও ওয়াসিম শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি’র ইন্সপেক্টর আব্দুল হক তদন্তের জন্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, শাহিন, বাচ্চু মিয়া, বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, রাজু ও মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে যান তাছলিমা বেগম রেনু। সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। 

টিএইচ/এমএইচস