দণ্ডিত পলাতকদের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) দণ্ডিত পলাতক আসামিদের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার/বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় হাইকোর্টের লিখিত রায় প্রকাশ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫৬ পৃষ্ঠার এ আদেশ প্রকাশ করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) দণ্ডিত পলাতক আসামিদের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারসহ/বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

পিকে হালদারের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের আবেদনের  পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত।

আবেদনে একইসঙ্গে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পিকে হালদারের প্রচারিত সাক্ষাৎকার এবং মধ্যরাতে প্রচারিত টকশোর ভিডিও ক্লিপ আদালতে তলব চাওয়া হয়।

২৯ ডিসেম্বর খুরশিদ আলম খান আদালতে বলেছিলেন, ২৮ ডিসেম্বর রাতে একজন পলাতক আসামির সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। এছাড়া তাদের রাতের টকশোতেও ওই আসামিকে লাইভে এনেছে। আমাকেও সংযুক্ত করেছিল। আমি তার কথা শুনে লাইভ থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ আমিতো পলাতক আসামির সঙ্গে টকশো করতে পারি না। প্রথম কথা হলো, পিকে হালদার পলাতক, আর দ্বিতীয় হলো তার বিষয়ে এই আদালতে একটা সুয়োমোটো মামলা বিচারাধীন। এ অবস্থায় তার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে কী আছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই আদালত সেই ভিডিও সাক্ষাৎকার তলব করে দেখতে পারেন। এরপর প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন।

এরপর আদালত লিখিত আকারে আবেদন করতে বলেন।

১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশ অনুসারে দুদক গত ২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর ৯ ডিসেম্বর পিকে হালদারের কাজিন পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পিকে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভূক্ত করা হয়। একইসঙ্গে পিকে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে ৩ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর দুদক আইনজীবী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

এমএইচডি/জেডএস