স্কুল-কলেজে পরপর দুইবারের বেশি সভাপতি নয়
হাইকোর্টের সংগৃহীত ছবি
কোনো স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার গর্ভনিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কোনো ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি হতে পারবেন না; বিষয়টি কমিটি বিধিমালায় সংযোজনের পরামর্শ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রায়ের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ) ও সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রকাশ করেন। রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।
গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কোনো স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার গর্ভনিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য কোনো ব্যক্তি পরপর দুবার হতে পারবেন না, মর্মে পরামর্শ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞাপন
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা সংক্রান্ত রিট খারিজ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার গর্ভনিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা ২০০৯ এর কোথাও সভাপতি বা সদস্য কতবার হতে পারবে, সে বিষয়ে কোনো সুষ্পষ্ট বিধান নেই। বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট কোনো স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার গর্ভনিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য কোনো ব্যক্তি পরপর দুবার হতে পারবে না বলে বিধিমালা তৈরি করতে পরামর্শ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফুলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অভিভাবক সদস্য নুরুল হক। রিটে তিনি একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ২০১৪ সাল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাধিকবার সভাপতি বা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে উপরোক্ত রায় দেন।
এমএইচডি/জেডএস