মানবপাচার মামলায় অমির ৯ সহযোগী রিমান্ডে
রাজধানী দক্ষিণখান থানায় মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় অমির ৯ সহযোগীকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসিম আরা শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন : জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।
বিজ্ঞাপন
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে মালিবাগের সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, গত কয়েক দিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের মূল হোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমি।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, অমির ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আসছিল। কিন্তু তারা ভিকটিমদের চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এছাড়াও তারা অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে এখন তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়রে মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
টিএইচ/এসকেডি