রমনায় বোমা হামলা : ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায়
দীর্ঘদিন পর বহুল আলোচিত রমনায় বোমা হামলার মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখা হয়েছে।
এর আগেও কয়েকবার হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানির জন্য এলেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের বিচারিক আদালত রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আট জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে সিলেটে সাবেক বিট্রিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এছাড়া মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
এমএইচডি/এসএসএইচ