ক্ষতিগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়ে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের সরকার নির্ধারিত কিছু আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে না রাখতে এবং হোটেলে বিল পরিশোধে বাধ্য না করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বগুড়ার মোহাম্মদ লতিফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এ নোটিশ  পাঠান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় অবৈধ ও কর্মহীন থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসার পরে সরকার নির্ধারিত কিছু আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং হোটেলে বিল পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু মালয়েশিয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের যারা দেশে আসতে আগ্রহী তাদেরকে মালয় টাকায় ৫শ রিংগিত (বাংলাদেশের ১০ হাজার টাকা) জরিমানা, প্লেন ভাড়া ১৩২৭ রিংগিত (বাংলাদেশের ২৭ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত) এবং কোভিড টেস্ট ৩শ রিংগিত (করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশের ৬ হাজার ৫৭ টাকার মতো) মোট ৫০ হাজার টাকার ওপরে খরচ হচ্ছে।

এ অবস্থায় দেশে ফেরার পরেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার উদ্দেশ্যে সরকারের নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক রাখা এসব নিঃস্ব প্রবাসী অহেতুক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কোয়ারেন্টাইনের নামে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কর্তৃক নির্ধারিত হোটেলে তাদেরকে বেশি টাকা দিয়ে থাকা অসম্ভব। তাই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু প্লেনে ওঠার আগেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে, সেহেতু বাংলাদেশে আসার পরে আবার তার কোভিড টেস্ট করা হোক। যদি মনে হয় তার কোভিড-১৯ পজেটিভ, তাহলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা যেতে পারে। এর আগে তার নজির রয়েছে।
 
নোটিশে বলা হয়, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, যেসব হোটেল প্রবাসীদের জন্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল। এটা একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের (প্রবাসীদের) প্রতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রবাসীদেরকে বলা হয়ে থাকে রেমিটেন্সযোদ্ধা। তাদের টাকায় সরকার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়, সেখানে তাদের এই দুঃসময়ে চাপিয়ে দেওয়া হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নামে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা উচিত না।  

এমএইচডি/জেডএস