আনুশকা হত্যা: জবানবন্দি দিলেন দিহানের বাসার দারোয়ান
রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মামুনুর রশিদ এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গত ১১ জানুয়ারি মামলার সাক্ষী হিসেবে দুলাল মিয়াকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইফতেখার ফারদিন দিহান । আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে নিজ বাসায় নিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ করেন দিহান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনুশকা অচেতন হয়ে গেলে তাকে কলাবাগানের আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান দিহান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুশকাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দিহান ও তার তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার দিন রাতে কালবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার বাবা মো. আল আমিন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় মামলাটি করা হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহানকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওইদিন বিকেলে আনুশকার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেসনিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনুশকার মৃত্যু হয়েছে। তার যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ময়নাতদন্তে দেহের দুই অংশেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল। তাদের ডিএনএ নমুনা এবং ভিসেরাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় শুক্রবার রাতে দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
টিএইচ/এসআরএস