মেয়র তাপসের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি, কারাগারে ২ প্রতারক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জাকারিয়া ও একরামুল হক। 

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এদিন দুপুরে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করেন। মামলার প্রয়োজনে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি (রোববার) ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের টিম তাদের রংপুর ও গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ টায় ডিএমপি গোয়েন্দা অফিস কম্পাউন্ডে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,  ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে নিজেকে মেয়র পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দাবী করে। উক্ত টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এ সংক্রান্তে শাহবাগ থানায় মামলা রুজু হয়।

তিনি বলেন, উক্ত মামলা তদন্তে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ রংপুর ও গাজীপুর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকালে জব্দকৃত মোবাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর নামে একটি ভুয়া ফেইসবুক আইডি Shekh Fazle Noor Taposh লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়।

তাদের কাছ থেকে স্মার্ট ফোন ও টাকা লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত বিকাশ অ্যাকাউন্টসহ সিম নাম্বার উদ্ধার করা হয়। উচ্চশিক্ষিত না হলেও তারা প্রতারণা ও প্রযুক্তিতে বেশ দক্ষ বলে জানান গোয়েন্দা বিভাগ।

মেয়র তাপস তার নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার তথ্য পেয়ে গত ১ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি করেন। এই মামলার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

টিএইচ/ওএফ