চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মাদক মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলার আরেক অভিযুক্ত হলেন পরীমণির সহযোগী মো. আশরাফুল ইসলাম দীপু।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পরীমণির মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তভার এখন ডিবির কাছে। পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে এ মামলায় মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আদালতে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর শেষে পরীমণি ও দীপুকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সন্ধ্যায় বনানী থানায় র‍্যাব-১ বাদী হয়ে পরীমণি ও দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

এদিকে বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে পরীমণিকে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থাটির লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, তার নাম শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও ৫/৭টি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকার সিনেমা জগতে আনেন আটক হওয়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ।

জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণি জানান, ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন। মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে তিনি বাসায় একটি মিনি বার স্থাপন করেছেন। মিনি বার থাকায় তার বাসায় পার্টির আয়োজন করা হতো। সেই পার্টিতে বিভিন্ন প্রকার মাদক সরবরাহ করতেন রাজ।

এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি বিষয়টি সবাইকে জানায়।

এআর/এমএসি/এসএম