সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং গত ১ আগস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

অর্থসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি গভর্নর, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং সাউথ ইস্ট ব্যংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকরে পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।

আগামী ১৭ নভেম্বর এ রিট মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে ১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের দুর্নীতি নিয়ে ‘এক চেয়ার ১ লাখ ৪০ হাজার’ শিরোনামে প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের বাংলাদেশে ব্যাংক, দুদকের কাছে আবেদন করেও সাড়া মিলছে না, এমন খবর রিটে সংযুক্ত করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভুইয়া ও মো. মাহবুবুল এসলাম।

এমএইচডি/এসএম