সব স্থলবন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে সময় ৩ মাস
দেশের সব স্থলবন্দরে ফলমূল পরীক্ষায় কেমিক্যাল টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে সরকারকে আরও তিন মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৭ জানুয়ারি আমদানি করা ফলে রাসায়নিকের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য ৯টি স্থলবন্দরে কাস্টমস স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপনের বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। স্টেশনগুলো হলো- ভোমরা, বুড়িমারি, হিলি, বাংলাবন্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফ।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ফল আমদানিতে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেওয়া এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার স্থাপন করতে একমত হয়েছে এনবিআর ও এডিবি।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ঢাকায় একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ডিপিপি প্রণয়নের কাজ করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এডিবির টেকনিক্যাল টিমের যাতায়াত ছয়-সাত মাস বন্ধ ছিল। এতে তাদের ফিজিবিলিটি টেস্ট এর কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমানে ফের পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থল ও নৌ-বন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত ফল আমদানিরোধের জন্য ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিট দায়ের করেন। এ রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব স্থল ও নৌ-বন্দরে ৬ মাসের মধ্যে কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন এবং আমদানি করা সব ফলের কেমিক্যালমুক্ততা নিশ্চিত হয়ে দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন।
এমএইচডি/জেডএস