রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে গোল্ডেন মনিরকে

গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক দুই  মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাড্ডা থানার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে মনিরের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মইনুল ইসলাম দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মনিরকে আদালতে হাজির করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের জোর দাবি জানান।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৯ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ২২ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২২ নভেম্বর সকালে র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মোট তিন মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। অভিযোগ আছে তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের মালিক।  

ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০১৯ সালে মনিরের বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটিও চলমান রয়েছে।

টিএইচ/জেডএস