অর্থপাচার মামলায় আলোচিত গোল্ডেন মনিরের সহযোগী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ, দলীয় পদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) তা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার আগাম জামিনের আবেদনের আদেশের জন্য ওইদিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গোল্ডেন মনিরের এ সহযোগী রিয়াজ উদ্দিন ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ৪র্থ শ্রেণির পিয়ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সোনালী ব্যাংকের এয়ারপোর্ট শাখায় কর্মরত থাকার সময়ে মনির হোসেনের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানের অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন এবং সোনালী ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মনির হোসেন, হায়দার আলী ও শফিকুল পরস্পর সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালান থেকে আয় দিয়ে অপর অভিযুক্তদের সঙ্গে ঢাকার উত্তরায় অনেক প্লট অর্জন করে। এছাড়াও তার নামে শেয়ার ও মেসার্স সিয়াম ফ্যাব্রিকস লিমিটেডের মালিকানা আছে। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আরো ২টি মামলা আছে।

এ ঘটনায় গোল্ডেন মনিরসহ ১০ জনকে আসামি করে গত ১১ মে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এই মামলায় জামিন আবেদন করেন মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।

এমএইচডি/জেডএস