দুর্নীতি-অনিয়মের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে দুদককে তা জানাতে বলা হয়েছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। 

আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিমানের সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরি, মো.রফিকুল আলম, মো.আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য দুদক নোটিশ দেয়। কিন্তু তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি মর্মে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়রি হাইকোর্ট রুল জারি করে দুদকের পদক্ষেপে নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই রুল শুনানির জন্য আজ তারিখ নির্ধারিত ছিল। দুদক আইন অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি কোনো নোটিশের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে সে কারণে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও দুদকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেহেতু সিবিএ নেতারা প্রভাবশাশী সে কারণে যদি আইন তার নিজস্ব গতিতে না চলে তবে আইনের শাসন ব্যহত হতে পারে এবং আইনের দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়। দুদকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আদালতে কোনো জবাব দাখিল করা হয়নি।

এমএইচডি/এনএফ