রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ (রাসেল) ও আশফাক আজিজ, রাজউকের সাবেক সদস্য এড ডি ফয়েজ, একেএম ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ১৪ নভেম্বর মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যান থাকার সময় ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে’ অন্যদের যোগসাজশে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দুটি প্লট বরাদ্দ দেন। অথচ তারা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয় বলে এজাহারে বলা হয়। সে কারণে বোর্ডের সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী, রাজউকের সাবেক পাঁচজন সদস্য (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এস ডি ফয়েজ, এ কে এম ওয়াহেদুল ইসলাম, এস এম জাফর উল্লাহ, এইচ এম জহুরুল হক ও রেজাউল করিম তরফদার এবং দুই ভাই শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজ।

এমএইচডি/জেডএস