ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে জানতে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে রুপার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে রুপার চলতি, সঞ্চয়ী, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, এফডিআরসহ যাবতীয় হিসাবের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত চিঠি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুপাকে আবারও তলব করেছে দুদক। এবারের তলবি নোটিশে তাকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ১০টায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণপূর্বক জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তাই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের কপি ও চাহিদাকৃত নথি-পত্রসহ তাকে হাজির হতে অনুরোধ করা হয়।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৯ অক্টোবর রুপাকে চিঠি দেয় দুদক। সেই চিঠিতে গত ৪ নভেম্বর হাজির হতে বলা হলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় দুদকে হাজির হননি রুপা।

এছাড়া গত ১ নভেম্বর দুদকের তলবের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা আবেদন করেন। যা পরবর্তীতে শুনানি শেষে তা খারিজ করে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

আরএম/টিএম/এফআর