ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
সংগৃহীত ছবি
কারা অধিদফতর হেডকোয়ার্টারের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত আগামী ৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু আসামি বজলুর রশিদ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
গত ২২ অক্টোবর একই আদালত মামলাটিতে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর এ আদেশ দেন। পরে ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন।
গত বছর ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। তবে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, তার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
টিএইচ/এমএইচএস