চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এ আদেশ দেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের যে ৭১টি অবৈধ ইটভাটায় ইতোপূর্বে জরিমানা করা হয়েছিল, সেগুলোসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এক আদেশে সাতদিনের মধ্যে চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সকল ইটভাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, কাঠ ও পাহাড়ের মাটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে- এমন ইটভাটার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ব্যতীত চালানো যাবেনা। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় শত শত ইটভাটা চলছে এবং এতে করে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শুধু তাই নয় ১৮২টি ইটভাটা জ্বালানি হিসেবে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এমএইচডি/এমএইচএস