অনেকের জন্যই এখন ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর বড় কারণ হলো জীবনযাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন যদি এই ওজন কমাতে সাহায্য করে তাহলে মন্দ হয় না। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শক্তির দরকার, সেজন্য আমরা খাবার খাই। এমন কিছু খাবার আছে যা আমাদের শক্তি, পুষ্টি সবই দেবে আবার ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন ৫ খাবার সম্পর্কে-

ডিম

ডিমে অনেক কোলেস্টেরল থাকে বলে যারা ভয় পান খেতে তারা জেনে রাখুন এটি এমন একটি খাবার যা পরিমাণমতো খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমে আছে প্রচুর প্রোটিন ও ফ্যাট যা শক্তি দেয় এবং পেট ভরিয়ে রাখে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ জন নারী যারা বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন, তারা দাবি করেছেন প্রতিদিন সকালে যদি একটি করে ডিম খান তাহলে তাদের পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টা ক্ষুধাবোধ কম হয় এবং পরিতৃপ্ত রাখে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি সকালে নাস্তায় ডিম খাওয়া হয় তাহলে সেটি ওজন কমাতে সহায়তা করে।

সবুজ শাক-সবজি

পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শশা, বরবটি ইত্যাদি সবুজ শাক-সবজিতে ক্যালরি কম থাকে। ফাইবারে ভরপুর থাকে যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। অনেক ধরনের গবেষণা থেকে জানা যায় কম ক্যালোরির আঁশযুক্ত খাবারগুলো ভরপেট খেলে সামগ্রিকভাবে মানুষকে অধিক ক্যালরি গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ভিটামিন, এন্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

মাছ

মাছ হচ্ছে এমন একটি ভালো প্রোটিন যা খেলে অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ক্ষুধাবোধ হয় না তাই অধিক ক্যালরি খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এছাড়াও এতে প্রোটিনসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়োডিন যা থাইরয়েড হরমোনকে ঠিক রাখে এবং শরীরের মেটাবোলিজমকে ঠিক করে। এতে আরও আছে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এসিড যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

ডাল ও শস্য জাতীয় খাবার

ডাল ও কিছু শস্য জাতীয় খাবার কিন্তু ওজন কমাতে সহায়ক। এর মধ্যে আছে মুগ, মসুর ডাল, ছোলা বুট, শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই শস্যগুলো যেমন পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ তেমন আছে ফাইবার যা খাবারে আনে তৃপ্তি।

আপেল সাইডার ভিনেগার

বর্তমানে এটি একটি খুবই জনপ্রিয় পানীয়। এটি যেমন সালাদ ড্রেসিং হিসেবেও খাওয়া যায় তেমন আবার পানির সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই পানীয় ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এটি পান করলে পেট ভরিয়ে রাখে, যা প্রতিদিন ২৫০ থেকে ২৭৫ পর্যন্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিলি লিটার ভিনেগার খাওয়া হলে ১২ সপ্তাহে প্রায় ১.২ থেকে ১.৭ কিলোগ্রাম ওজন কমে।