শখ বলুন কিংবা প্রয়োজন- স্মার্টফোন এখন আমাদের জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যোগাযোগ রক্ষা কিংবা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করছি। তবে প্রয়োজনীয় এই গ্যাজেটের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে জীবাণু। কারণ আমরা যেখানেই যাই, আমাদের সঙ্গে থাকে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য এর যত্ন করা অনেক জরুরি। 

স্মার্টফোন কেনার পর থেকে এর যত্ন নিতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষাসহ আরও অনেক ব্যক্তিগত কাজ করতে হবে। তাই দীর্ঘ দিন স্মার্টফোন টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা উচিত। সচেতন ব্যবহারকারীরা এসব উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোনের যত্ন নেন। এসব উপায় হলো- 

প্রটেক্টর ও কভার লাগান

স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রটেক্টর ও কভার লাগানো দরকার। স্মার্টফোনে কভার ও প্রটেক্টর লাগালে স্ক্র্যাচ ও দাগ পড়ে না। অনেক সময় প্রটেক্টর না লাগানোর জন্য স্মার্টফোনের কাঁচ ভেঙে যায়। এছাড়া কভার লাগালে স্মার্টফোন সুরক্ষিত ও প্রটেক্টরের মাধ্যমে স্মার্টফোন নিরাপদ থাকে। স্মার্টফোন কেনার সময়েই প্রটেক্টর ও কভার লাগানো উচিত। 

শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন

স্মার্টফোন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্মার্টফোন শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উত্তম। শিশুরা স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চোখের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয় এবং মানসিক বিকাশ কমে যায়। 

অন্যদের হাতে দেবেন না  

ছবি তোলার জন্য সহকর্মী বা বন্ধুদের হাতে স্মার্টফোন দেবেন না। বিশেষ করে কোনো অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত স্মার্টফোন অন্যদের হাতে দেবেন না। অনেকে শুধু দেখানোর জন্য স্মার্টফোন অন্যদের হাতে দেন। কিন্তু এভাবে অন্যের হাতের জীবাণু স্মার্টফোনটিতে চলে আসে। এতে আপনি রোগাক্রান্ত হতে পারেন। 

ঘুমের সময় কাছে রাখবেন না

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করা কিংবা অনলাইন ব্রাউজিং অনেকের অভ্যাস। সুস্থ থাকার জন্য এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আপনার স্মার্টফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি চোখের ক্ষতি করতে পারে। এই অভ্যাস চলতে থাকলে দেখা দেবে নিদ্রাহীনতা ও মাথা ব্যথার সমস্যা। এছাড়াও অনেকে বালিশের নিচে স্মার্টফোন রেখে ঘুমান। সেখানে বেখেয়ালে চাপ লেগে ভেঙে যেতে পারে শখের ফোনটির স্ক্রিন। তাই ঘুমের সময় স্মার্টফোন দূরে রাখুন। 

এইচএকে/ এইচএন/এএ