গালি দেওয়া ভালো কিছু নয়, একথা আমাদের সবারই জানা। ছোটবেলায় ভুল করেও কোনো গালি দিয়ে ফেললে তার জন্য মা-বাবা কিংবা শিক্ষকের কাছে শাস্তি পেতেই হতো। বড়দের মুখেও গালি বেমানান। কারণ তাদের দেখেই ছোটরা শেখে। এদিকে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। মন খুলে গালি দিতে পারলে শরীর ভালো থাকে, এমনটাই দাবী করছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, গালি দিতে পারলে রাগ কমে অনেকটাই। ফলে হালকা হয় মন।

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, যখন আপনি রাগের মাথায় অনেককিছু বলে ফেলেন, তারপর মনটা হালকা লাগে। এরকমটা দেখা যায় বলিউডের কোনো কোনো সিনেমার ক্ষেত্রেও। বিষণ্নতা তাড়াতে কাজ করতে পারে এই পদ্ধতি। আর এমন একটি বিষয়কেই স্বীকৃতি দিচ্ছেন কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষার পরে প্রমাণ করেছেন, মন খুলে গালি দিতে পারলে রাগ কমে, মন ভারমুক্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপরে এক অভিনব পরীক্ষা চালানো হয়। ভীষণ ঠান্ডা পানিতে হাত চুবিয়ে রাখার জন্য বলা হয়েছিল তাদের। এরপর দেখা গেছে, যারা পানিতে হাত চুবিয়ে রাখার সময় গালি দিতে পেরেছে তারা বেশিক্ষণ হাত পানিতে রাখতে পেরেছিল। আর গালি যাদের মুখেই আসেনি, তারা আগেভাগে হাত তুলে নিয়েছে।

বর্তমানে অবশ্য অনেকরকম গালিও জীবনযাপনের অংশ হয়ে গেছে। ছোটবেলায় যেসব গালির জন্য মার খেয়েছেন, খেয়াল করে দেখুন সেসবের মধ্যে অনেকগুলো এখন নির্দ্বিধায় বলে ফেলছেন। এর প্রভাব পড়ছে কিন্তু সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। নাটক, সিনেমা এমনকী গানের কথায়ও এ ধরনের শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। যদিও এটি সভ্য আচরণের সংজ্ঞায় পড়ে না। তাই ভদ্র হিসেবে পরিচিত মানুষেরা গালি এড়িয়ে যান। এদিকে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এতটা এড়িয়ে না গেলেও চলবে। যেহেতু গালি দিতে পারলে শরীর ও মন ভালো থাকে!

এইচএন/এএ