মহামারী করোনাভাইরাস দেখা দেয়ার এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও চলমান এর তাণ্ডবলীলা। বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাস সহ যেকোনো ভাইরাস দূরে রাখতে কাজ করে ভিটামিন। ভিটামিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি। ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে এই ভিটামিন গ্রহণ করা জরুরি।

রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। এটি চামড়ার উপরের ভাগ থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যদি সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকেন তবে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেবে। এমনকী বিভিন্ন অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভার ও কিডনির রোগে ভুগছেন যারা, তাদের জন্য ভিটামিন ডি আরও বেশি প্রয়োজন।

করোনাভাইরাস মহামারী দেখা দেয়ার পর ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষ আরও বেশি জানতে পেরেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই ধরনের। একটি হলো জন্মগতভাবে পাওয়া, অন্যটি জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারও শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কী হয়

ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে কিছু লক্ষণ দেখা দেবে। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হচ্ছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে যেসব সমস্যা হতে পারে-

* প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া
* হাড় এবং পিঠে ব্যথা
* শরীরের ঘা শুকাতে দেরি হওয়া
* হাড় ক্ষয় হতে শুরু করা
* মাংসপেশিতে ব্যথা
* ক্লান্তবোধ করা 
* অবসাদ দেখা দেয়া
* অতিরিক্ত চুল পড়া। 

ভিটামিন ডি এর উপকারিতা

ভিটামিন ডি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এই সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের সাহায্যে এই ভিটামিন পেশীর নানা সমস্যাও দূরে রাখে। 

আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এছাড়াও হার্টের সমস্যা কমাতেও এটি উপকারী। 

মাথাব্যথার সমস্যা থাকে অনেকেরই। কেউ আবার অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। এসব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি এর কিছু উৎস

সূর্যের আলোর পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যও ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে তৈরি করতে সাহায্য করে। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ ডায়াটেটিক্স এসোসিয়েশন। যেমন-

* মাছের তেল
* শুকনো মাশরুম
* ডিম
* দুধ
* মাখন ইত্যাদি।

এইচএন