ভিটামিন সি নানাভাবে আমাদের শরীরের জন্য কাজ করে। এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। আমাদের দাঁত, ত্বক ও চুল ভালো রাখে এই ভিটামিন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এটি পরিচিত নাম। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ভিটামিন সি শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন শোষণে সাহায্য করে। সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকরী।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। এগুলো খুব বেশি দামী এমন নয় কিন্তু। বরং সহজলভ্য অনেক খাবারেই মিলবে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের কথা বললেই প্রথমে আসে লেবু বা কমলার নাম। সাইট্রাসজাতীয় সব ফলেই মিলবে ভিটামিন সি। 

পেঁপেতেও আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। পেঁপের মধ্যে থাকা ‌প্যাপাইন এনজাইম হজমক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মেটায়। 

প্রতিদিন আধাকাপ ব্রকোলি খেলে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন পূরণ হবে ৬০ শতাংশ। ফুলকপি ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে প্রায় ৭৭ শতাংশ। 

এসব ছাড়াও স্ট্রবেরি, কিউই, কাঁচা মরিচ, শালগম, টমেটো, পেয়ারা, পালং শাক, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, বাঁধাকপি, আঙুরে পাবেন ভিটামিন সি।

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন সি খাওয়া যাবে

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক নারী প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম ও পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খেতে পারবেন। গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীর ক্ষেত্রে ডোজটি ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারে।

ভিটামিন সি বেশি খেলে কী হয়

ভিটামিন সি শরীরের জন্য উপকারী, তা প্রমাণিত। তবে এই উপকারী উপাদান শরীরে বেশি প্রবেশ করলে কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্রতিদিনের চাহিদার থেকে বেশি ভিটামিন সি খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ভিটামিন সি বেশি খেলে শরীরে আয়রন বাড়ে। ফলে লিভার, হৃদযন্ত্র, প্যানক্রিয়াস, থাইরয়েড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

ভিটামিন সি রক্তে মিশে যেতে পারে না। তাই অতিরিক্ত ভিটামিন সি অনেক সময় স্টোন আকারে কিডনিতে জমা হয়। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

ভিটামিন সি খাওয়ার সেরা সময়

ভিটামিন শুধু খেলেই হবে না বরং কোন সময়ে খাচ্ছেন সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। কারণ সব ভিটামিন আমাদের শরীরে একইভাবে সংশ্লেষিত হয় না। 

ভিটামিন সি যেহেতু পানিতে দ্রবণীয় পুষ্টি, তাই এটি খালি পেটে গ্রহণ করলে শরীর সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। প্রতিদিন সকালের খাবার খাওয়ার মিনিট ত্রিশেক আগে ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারেন। 

সকালেই খেতে হবে কথা নেই, ভিটামিন সি খেতে পারবেন দিনের অন্য যেকোনো সময়েও। তবে খালি পেটে খেতে পারলে বেশি উপকার মিলবে। 

এইচএন