ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বঙ্গবন্ধুর দেশে’ নামক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রন্থটির রচয়িতা দীপক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিনিয়র সংবাদ পাঠিকা তুহিনূর সুলতানা। বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি দীপক চৌধুরীর বইটি পড়েছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন তথ্যবহুল গ্রন্থ অতীতে খুব কমই হয়েছে। তাকে অনুরোধ জানাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো একটি বই লেখার। আসলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হাজার বছর গবেষণা করলেও তার অধ্যায় শেষ হবে না। তিনি একটি পরাধীন রাষ্ট্রকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, দীপক চৌধুরী তার বইতে বঙ্গবন্ধু, শিশু, নারী, দুর্নীতি, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্ব সব বিষয়ই তুলে এনেছেন। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে এই গ্রন্থটি তথ্যসমৃদ্ধ হয়েছে। অনেকে বলে, বাংলাদেশ হয়তো শ্রীলংকা, পাকিস্তান হয়ে যাবে। আসলে তারা চায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন হোক।

অধ্যাপক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ বলেন, এ গ্রন্থের লেখক শুধু সাংবাদিকই নন, তিনি একজন সত্যিকারের কথা সাহিত্যিক। একদা বহুল আলোচিত ‘তারা দুই বোন’ গল্প গ্রন্থটি পড়ে তার প্রমাণ পেয়েছি। দীপক চৌধুরীর লেখা ‘বঙ্গবন্ধুর দেশে’ বইতে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও উঠে এসেছে। এটি গবেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স গ্রন্থ হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক ও লেখক দীপক চৌধুরী বলেন, এ গ্রন্থটি লেখার প্রেরণা পেয়েছিলাম ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হোটেল থেকে। সেখানে একজন লোক একদিন এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি নিজের বিবরণ দিলাম। তিনি বলে উঠেন ‘ও আপনি কি বঙ্গবন্ধুর দেশের লোক’? আমি এ কথা শুনে চমকে উঠেছিলাম। বাংলাদেশ না বলে উনি বঙ্গবন্ধুর দেশ বললেন। 

এ নিয়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম। পরে জেনেছিলাম তিনি মিত্রবাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং বাংলাদেশের হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। ঘটনাটি আমার মনে নাড়া দেয়। সিদ্ধান্ত নেই এ নামে একটি বই লেখার। আমি এই গ্রন্থে চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধু ও তার দর্শন এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার জাদুকরী সফলতা তুলে ধরতে। আশা করি এ গ্রন্থের মাধ্যমে আমি ইতিহাসের কিছুটা হলেও তুলে ধরতে পেরেছি।

এমএএস