কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্মদিন আজ। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার জহরের কান্দি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বঙ্কিম চন্দ্র বিশ্বাস ও মা মালতী দেবী। শিক্ষক বাবা-মায়ের অপত্য স্নেহে কাটে তার বর্ণিল শৈশব ও কৈশোরকাল।

অরুণ কুমার নটরডেম কলেজে পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে লন্ডন থেকে তিনি আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় পুনরায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

কলেজ পড়াকালীন সময়েই তার লেখালিখির শুরু। তিনি অসম্ভব প্রাণোচ্ছল ও সংবেদনশীল একজন মানুষ। অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় একসময় নিয়মিত কলাম লিখতেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, গল্প, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দা কাহিনি। পেশাগত কাজের ফাঁকে (অতিরিক্ত কমিশনার, বাংলাদেশ কাস্টমস) তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রম্য ধাঁচে নিয়মিত কলাম লিখছেন।

রম্যরচনা ও কিশোর অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ে তার লেখাজোখা প্রচুর। তবে তিনি গোয়েন্দা গল্পের বিশেষ ভক্ত। এপার বাংলায় ফেলুদা’র মতো একটি চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত গোয়েন্দা চরিত্র গড়ে তুলতে তিনি বদ্ধপরিকর। ‘অলোকেশ রয়’ তার সৃজিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ যাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘জলপিপি’, ‘কফিমেকার’, ‘আলিম বেগের খুলি’, ‘জগু’, ‘অনল মিত্রের অপমৃত্যু’, ‘সাইকোপ্যাথ’ বিশেষ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

তার প্রচেষ্টায় ‘দ্য ডিটেকটিভস’ নামে একটি গোয়েন্দা গল্প লিখিয়ে প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে, এসেছে ‘গোয়েন্দা’ শিরোনামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। তার গ্রন্থের সংখ্যা একশ’র বেশি। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। পরিবারের সবাই লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত।

অরুণ কুমার নটরডেম কলেজ থেকে মেধার স্বীকৃতিসূচক ‘অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স-১৯৯৫’, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ‘সার্টিফিকেট অফ ডিসটিংশন’ এবং ‘স্পাই’ উপন্যাসের জন্য চ্যানেল আই প্রবর্তিত এসিআই-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৮ লাভ করেন। ২০২১ সালে ‘জিগীষা সাহিত্য সম্মাননা’ অর্জন করেন।

বস্তুত, গ্রন্থাগার নয়, তিনি পাঠাগার আন্দোলনে বিশ্বাসী।