প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ছয় প্রবীণ ও নবীন লেখক ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এবার ছিল এ পুরস্কারের দশম আয়োজন। বাংলা সাহিত্যের প্রসার ও লেখকদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে গত এক দশক ধরে লেখক ও সাহিত্যিকদের সম্মাননা দিয়ে আসছে ব্র্যাক ব্যাংক ও দৈনিক সমকাল।

২০১৯ সালের জন্য প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ‘দীক্ষাগুরুর তৎপরতা’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণিতে, হেলাল হাফিজ তার ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ গ্রন্থের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণিতে এবং মোজাফ্ফর হোসেন তার ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প : ছোটগল্পের শিল্প ও রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী হন।

২০২০ সালের জন্য আফসান চৌধুরী তার ‘১৯৭১ গণনির্যাতন - গণহত্যা কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণিতে, মোহাম্মদ রফিক তার ‘পথিক পরান’ গ্রন্থের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণিতে এবং রন্জনা বিশ্বাস তার ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী হন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ. কে. আজাদ, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন ও দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

‘প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ’ এবং ‘কবিতা ও কথাসাহিত্য’ এ দুই শ্রেণিতে বিজয়ী প্রত্যেকে পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা করে পান এবং ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী পান এক লাখ টাকা। প্রত্যেক বিজয়ীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

এ পুরস্কার বাংলাদেশের সাহিত্যিক, পাঠক ও প্রকাশক মহলে অনেক আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তিন শ্রেণিতে ২০১৯ সালে জন্য ৪৯৬টি এবং ২০২০ সালে ৫২৭টি বই জমা পড়েছিল। সেলিনা হোসেন, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও আবিদ আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড প্রতি বছরের জন্য সেরা তিনটি করে বই নির্বাচন করেন।

সাহিত্য প্রসারের এ উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বলেন,  পুরস্কারটি ইতোমধ্যে দেশের সাহিত্য জগতে একটি অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে। এ পুরস্কার দেশের লেখক ও সাহিত্যিকদের বিশেষ করে তরুণ লেখকদের অনুপ্রাণিত করছে। আর পাঠকরা পাচ্ছে রুচিশীল বই পড়ার সুযোগ। দেশের তরুণ উদীয়মান এবং প্রতিভাবান লেখকদের সৃষ্টিশীল কাজের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে অবির্ভূত হয়েছে এ পুরস্কার। আমরা এ সাহিত্য পুরস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে গর্বিত।

এসআই/এসএসএইচ