শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

করোনায় আক্রান্ত বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। সর্দি, কাশি ও দুর্বলতা দেখা দেওয়ায় গত সোমবার তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। মঙ্গলবার তার পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

বইমেলার উদ্বোধনের জন্য গত ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ গিয়েছিলেন শীর্ষেন্দু। সেই বইমেলা স্থগিত হয়ে যায়। মালদহ থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তার সর্দি, কাশি ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। ক্লান্তি ও দুর্বলতা থেকে যাওয়ায় তার সন্দেহ হয়। তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। মঙ্গলবার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন। 

লেখক বলেন, ‘জ্বর আসেনি কখনও। উপসর্গ হিসাবে ক্লান্তি, দুর্বলতার সঙ্গে স্বাদহীনতা রয়েছে।’ আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। 

১৯৩৫ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শীর্ষেন্দু। ছয়ের দশক থেকেই তরুণ শীর্ষেন্দু তার ছোটগল্পের মাধ্যমে বাঙালি পাঠকের মন জয় করা শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে লেখা ‘ঘূণপোকা’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনি বৃহৎ আখ্যান লেখাও শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পারাপার ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’, ‘পার্থিব’, ‘ফজল আলি আসছে’র মতো উপন্যাস ও অসংখ্য ছোটগল্পে তিনি বাংলা সাহিত্যে পাকা আসন লাভ করেন। তবে বড়দের সাহিত্যের পাশাপাশি ছোটদের সাহিত্যেও তুমুল জনপ্রিয় শীর্ষেন্দু।

‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ থেকে শুরু করে ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘পাগলা সাহেবের কবর’, ‘পটাশগড়ের জঙ্গলে’, ‘পাতালঘর’-এর মতো উপন্যাসও বাঙালি পাঠকের চিরকালীন সঙ্গী হয়ে থাকবে।

ওএফ