দেশের ইতিহাসে প্রথমবার এসএটিভির পর্দায় হুইল চেয়ারে বসে সংবাদ পাঠ করলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী হেদায়তুল আজিজ মুন্না। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এসএটিভির মূল ভবনে নিউজ আপডেট পড়েন তিনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলস্রোতে যুক্ত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএটিভি কর্তৃপক্ষ।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় সংবাদ পাঠ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হেদায়তুল আজিজ মুন্না। তিনি বলেন, এসএটিভি পরিবারকে স্যালুট জানাই। তারা এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে এসএটিভি আরও ভালো ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমি আশা করি।

ব্যতিক্রমী আয়োজনটির বিষয়ে এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের যেন কেউ অবহেলার চোখে না দেখেন, তারা যেন সমাজে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকেন- এমন সব বিষয় মাথায় রেখে আমরা গণমাধ্যমে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাদের (প্রতিবন্ধীদের) নিয়ে ভবিষ্যতেও আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে। এসএটিভির বিভিন্ন প্রোগ্রামসহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান করা হবে বলে জানান তিনি।

শুধু কথায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলস্রোতে যুক্ত করতেই এসএটিভির পর্দায় এ সাহসী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসএটিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর কন্যার ইচ্ছার প্রতি এবং সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এসএটিভি বাংলাদেশে প্রথম হুইল চেয়ার নিউজ অ্যাঙ্কর পরিবেশন (ইন্ট্রোডিউস) করেছে। একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম- তারা বিশ্বমানের, তাদের চিন্তাধারা বিশ্বমানের। সুতরাং এসএটিভির এ উদ্যোগ ইতিহাস হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্থা রাখতে চাই।

এ বিষয়ে এসএটিভির বার্তা প্রধান জাহিদুর রহমান খান বলেন, প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে ও তাদের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে এসএটিভির এ উদ্যোগ। আমরা মনে করি, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, কেবলমাত্র সুযোগ প্রদানের মাধ্যমেই তাদের জনশক্তিকে পরিণত করা সম্ভব। এসএটিভির এমন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিবন্ধীদের পাশে এগিয়ে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এসএসএইচ