প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপারিশের জন্য চূড়ান্ত হওয়া ১০ জনের নাম নিয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তারা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সার্চ কমিটির সাক্ষাতের কর্মসূচি সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় আগেই ঠিক করা ছিল।

সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাড়া অন্য সদস্যরা বঙ্গভবনে উপস্থিত রয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান যাননি বলে বঙ্গভবন সূত্র জানিয়েছে। 

সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নাম থেকে মোট পাঁচজনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি, যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবেন।

রাষ্ট্রপতি গঠিত এবারের সার্চ কমিটি মঙ্গলবার তাদের সপ্তম বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে সদস্য রয়েছেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহা-হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।

কাদের কাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রকাশ করেনি সার্চ কমিটি। তারা বলছে, এটা প্রকাশের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির।

তবে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলসহ সবার প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে।

সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান যেহেতু বলেছেন, তারা নিজেরা নতুন কোনো নাম যোগ করেননি, সেহেতু প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম ৩২২ জনের তালিকার মধ্যে রয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি পদের জন্য দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনারের শূন্য পদের প্রতিটির জন্য দুজনের নাম তারা প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তার তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে; কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এইউএ/এসএম