টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে সচিবালয়ে টিকা নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৯০ জন

টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে টিকা নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৯০ জন। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ১৬৭ জন টিকা নিলেও সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। এদিন বিকেলে সচিবালয় ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল মোট ১৬৭ জন টিকা নিয়েছেন। আর আজকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২৫৭ জন এ টিকা নিয়েছেন। সচিবালয় ক্লিনিকে মোট ১২ দিন এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী।

এর আগে দুপুরে সচিবালয় ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, উৎসাহ নিয়ে টিকা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টিকা নেওয়ার পর ১০ থেকে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে তারা ফের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। এরআগে দুপুরে টিকা নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দীন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সোনিয়া মুন্নি দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘টিকা নিলাম। আমি মনে করি এটা আমাদের নেওয়া উচিত। করোনার নিরুদ্ধে লড়াই করার এটাই উত্তম রাস্তা। আমি নিজে টিকা নিয়েছি। যারা এখনও নেননি তাদেরকে বলব টিকা নিতে। কারণ এখন আমাদের টিকা নেওয়ার সময়।’

টিকা নেওয়ার পরের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে যেকোনো ইনজেকশন পুশ করার পর জায়গাটা হালকা অনুভূত হয়ে, ওটাই। এছাড়া আলাদা কোনো সমস্যা নেই। আমি অফিস থেকে এসেছি এবং এখান থেকে গিয়েও আবার অফিস করব।’

অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর কোনো সমস্যা অনুভব করছি না।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অফিস সহকারী বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর আমার কোনো সমস্যা বা অসুবিধা হচ্ছে না। আমি সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য বলব।’

বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিম আবেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি টিকা নিতে যাচ্ছি। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রোববার থেকে সারাদেশের এক হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এসএইচআর/এমএইচএস