শীত যেতে না যেতেই রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। শুধু রাত নয়, দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে। তারপরও মশা সারাক্ষণ ভনভন করে। কয়েল বা স্প্রে কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অসুস্থ হচ্ছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর‌পো‌রেশ‌নের (ডিএসসিসি) ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের (উত্তর ও দক্ষিণ মান্ডা) বাসিন্দারা এসব কথা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী বলছেন, সাধারণত বর্ষায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ বছর বর্ষা শুরুর আগেই মশা বেড়েছে। মাসখানেক ধরে মশা এ এলাকায় রাজত্ব বিস্তার করছে। রাতে তো বটেই, দিনেও মশার যন্ত্রণায় বাসা-বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ মান্ডা এলাকাযর বাসিন্দা হোসনেয়ারা জানান, মশার উৎপাত অনেক বেড়েছে। মশারি ছাড়া ঘুমা‌নো যায় না। রাতে নয়, দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে থাকতে হয়। সারাক্ষণ মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখলেও সমস্যা; চোখ জ্বালাপোড়া করে, গলা জ্বলে।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে সপ্তাহে দুয়েক দিন মশা নিধনে ওষুধ দেয়। কিন্তু এ ওষুধে কোনো কাজ হচ্ছে না। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। এর আগেও মশা ছিল, তবে গত ১৫/২০ দিন ধ‌রে উৎপাত অনেক বেড়েছে। মশার কামড়ে বাচ্চাদের হাত-পা ফু‌লে যা‌চ্ছে। কামড়ের জায়গা ফুলে ফোঁড়ার মতো হয়ে পড়ছে। আবার দীর্ঘক্ষণ কয়েল জ্বালিয়ে রাখলে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি।

আলিয়া বেগম না‌মের আরেক গৃহিণী বলেন, মশার যন্ত্রণায় কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। মশার কামড়ের মধ্যেই সাংসারিক কাজ-কাম সারতে হয়। দুই-তিন দিন পরপর মশার ওষুধ দেয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। এখানে নিয়মিত ওষুধ দেওয়া দরকার। ওষুধও সব জায়গায় দেওয়া হয় না। শুধু রাস্তার আশপাশে দেয় তারা। বাসা-বাড়িতে ওষুধ না দেওয়ায় উৎপাত বেশি। মশা কমাতে হলে নিয়মিত সব জায়গায় ওষুধ দেওয়া দরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খাইরুজ্জামান খাইরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের পুরো টিম প্রতিদিন কাজ করছে। সবাই খুবই তৎপর রয়েছি। সিজনের কারণে এখন মশার পরিমাণ কিছুটা বেশি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কার্যক্রম ছাড়াও আমাদের ওয়ার্ডের নিজ উদ্যোগে মশক নিধনে কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ব্লিচিং পাউডার, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ মশার উৎপত্তি স্থল ধ্বংসে নিয়মিত কাজ করছি।

এসআই/ওএফ