‘আপনি কেন এসেছেন? একজন পুরুষের জায়গা নষ্ট করতে? আপনি তো বিয়ের পর বাচ্চা হলে আর অফিসে আসবেন না, তখন জায়গাটা নষ্ট হবে!’ আশির দশকে পররাষ্ট্র সার্ভিস ক্যাডার থেকে প্রথম নারী কূটনীতিক হিসেবে যোগ দেওয়া নাসিম ফেরদৌসকে এমন তির্যক মন্তব্য শুনতে হয় ঊর্ধ্বতন এক কূটনীতিকের কাছ থেকে। কিন্তু তিনি পিছপা হননি। তির্যক ওই মন্তব্য গায়ে না মেখে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন নাসিম ফেরদৌস। রাষ্ট্রদূত হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিদেশে উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের নাম।

স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের আট বছরের মাথায় প্রথম নারী কূটনীতিক পায় বাংলাদেশ। অবশ্য, বিদেশের মাটিতে নারী দূত পেতে অপেক্ষা করতে হয় আরও ১৭ বছর। নারী হওয়ায় যাদের শুনতে হয়েছিল ‘জায়গা নষ্ট হবে’, তারাই আজ নিজেদের যোগ্যতায় মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপদ থেকে শুরু করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন। তাদের হাত ধরেই বিদেশিরা সমৃদ্ধির বাংলাদেশকে জানছেন, বাড়ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। নতুন নতুন চুক্তি হচ্ছে, অর্থনীতির সম্প্রসারণ হচ্ছে, বিনিয়োগ আসছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধ-সংঘাত, অপহরণ বা মানবপাচারের মতো ঘটনা থেকে বাংলাদেশিদের অক্ষত অবস্থায় দেশে প্রত্যাবর্তন কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার মতো কাজগুলো দক্ষ নাবিকের মতো সামলে নিচ্ছেন তারা।

বর্তমানে ঢাকায় এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে ১০ নারী কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত ও সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, পরিচালক, সিনিয়র সহকারী সচিব, সহকারী সচিব এবং বিভিন্ন দূতাবাসে উপ-রাষ্ট্রদূত, কাউন্সেলর; দূতালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন নারী কূটনীতিকরা

বর্তমানে ঢাকায় এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে ১০ নারী কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত ও সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, পরিচালক, সিনিয়র সহকারী সচিব, সহকারী সচিব এবং বিভিন্ন দূতাবাসে উপ-রাষ্ট্রদূত, কাউন্সেলর; দূতালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন নারী কূটনীতিকরা।

তাদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের (পূর্ব) দায়িত্ব পালন করছেন মাশফি বিনতে শামস, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন রাবাব ফাতিমা, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হিসেবে আছেন সাঈদা মুনা তাসনীম, পোল্যান্ডে আছেন রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন, মরিশাসে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ, মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, জর্ডানে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, ব্রুনাইয়ে নাহিদা রহমান সুমনা এবং ব্রাজিলে সাদিয়া ফয়জুননেসা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন / ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলছেন, নারীদের অবস্থান নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে। ‘নারীরা কূটনীতি সামলাতে পারবে না’— সেকেলে চিন্তাধারা এখন নেই বললেই চলে। নারীরা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামনের দিনে নারী কূটনীতিকের সংখ্যা আরও বাড়বে।

নারী কূটনীতিকদের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করছেন। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। তিনি চান নারীরা আরও এগিয়ে যাক।

‘আমাদের কূটনীতিতে নারীরা শীর্ষ অবস্থানে আছেন। সচিব আছেন, জাতিসংঘের মতো জায়গায় নেতৃত্বে দিচ্ছেন নারী। লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের নারী রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নিজেদের যোগ্যতায় শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছেন। সামনের দিনে নারী কূটনীতিকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।’

বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালে পররাষ্ট্র সার্ভিস ক্যাডার থেকে প্রথম নারী কূটনীতিক হিসেবে যোগ দেন নাসিম ফেরদৌস। ২৩ বছর পর তাকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত করা হয়। পেশাদার কূটনীতিক থেকে রাষ্ট্রদূত হওয়া প্রথম নারী তিনি।

পেশাদার কূটনীতিক না হয়েও রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রথম নারী হাইকমিশনার হন তাহমিনা খান ডলি। শ্রীলঙ্কাতে প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালন করে তিনি। অন্যদিকে, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হন মাহমুদা হক চৌধুরী। তিনিও পেশাদার কূটনীতিক ছিলেন না। ভুটানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদা হক।

রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আরও তিনজন বাংলাদেশি নারী রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই তালিকায় রয়েছেন- নেদারল্যান্ডস প্রবাসী রাজনীতিবিদ শেলী জামান, শিক্ষাবিদ সেলিনা মোহসিন ও ইয়াসমিন মোর্শেদ।

পেশাদার কূটনীতিক নাসিম ফেরদৌসের পরে নাসিমা হায়দার ও মাজেদা রফিকুন্নেছা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রদূত ইসমাত জাহান দীর্ঘ সময় নিউ ইয়র্ক ও ব্রাসেলসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরে তিনি ছুটি (লিয়েন) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি’র দূত হিসেবে কাজ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ / ফাইল ছবি

ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে পেরেছি : সামিনা নাজ

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয় সামিনা নাজকে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। তবে, দেখা করার সুযোগ পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিশেষ পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন সামিনা নাজ। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও ঢাকা-হ্যানয়ের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে সক্ষম হন তিনি।

২৬ বছরের কূটনীতিক জীবনে ভারতের মুম্বাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে মিশন খোলা, পতিতালয়ে পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের উদ্ধার করা এবং ভিয়েতনামে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার মতো কঠিন কাজ সামলাতে হয়েছে সামিনাকে।

নারী কূটনীতিক হিসেবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কীভাবে সফলতা পেয়েছেন— ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় এ নারী কূটনীতিকের কাছে। সামিনা নাজের ভাষায়, নারী হিসেবে কূটনীতিকদের চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। দায়িত্ব পালন করতে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও চেষ্টা করেছি দেশের জন্য কিছু করার। এখনও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

“ভিয়েতনামে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ‘সম্পর্ক বাড়াবা, আরও অনেক কাজ করবা। একটু চেষ্টা করে দেইখ তো ভিয়েতনামে বাণিজ্য বাড়ানো যায় কি না।’ সেখানে দায়িত্ব নেওয়ার আগে অর্থাৎ ২০১৭ সাল অবধি ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের ট্রেড ছিল ৭০০ মিলিয়ন ডলার প্লাস। সেটা করোনাকালীন অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দ্বিগুণ হয়েছে। এটা এখন এক দশমিক ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আমাদের নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ট্রেডও বেড়েছে।’

সেখানে (ভিয়েতনাম) গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসার পর মানবপাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া ১১৭ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। করোনার সময় নিজেদের ব্যবস্থাপনায় দুই বাংলাদেশিকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল আমার জন্য। কারণ, ভিয়েতনাম সরকার তাদের পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মুসলিম রীতি অনুযায়ী তারা যেন সেই সম্মানটা পান সেজন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা সেটা করতে পেরেছি।

সামিনা বলেন, আমাকে যখন মুম্বাইতে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেখানে বসার মতো কোনো চেয়ার ছিল না। মিশন খোলার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হয়। ওই সময় খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের পতিতালয়গুলোতে পাচার হওয়া কয়েক’শ নারী-শিশুকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। মোট ৩৬৭ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর মতো কঠিন কাজ আমাকেই করতে হয়েছে। তখন মনে হয়েছিল আল্লাহ মনে হয় এ কাজের জন্য আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। এটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি।

মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম / ফাইল ছবি

সিউলের মতো মেক্সিকোতেও বিশেষ কিছু করতে চাই : আবিদা ইসলাম

২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের হয়ে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শুরু করেন আবিদা ইসলাম। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাও করতে চান। তাদের প্রবল আগ্রহ দেখে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে প্রথমে এইচএসসি এবং পরে বিএ কোর্স চালু করেন।

আবিদা ইসলামের হাত ধরেই সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের নেওয়া এ উদ্যোগ এখন মডেল। এটি অনুসরণ করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও। বর্তমানে আবিদা ইসলাম মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। মাস ছয়েক হলো তিনি সেখানে গেছেন। তবে, তার বিশ্বাস সামনের দিনগুলোতে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি থেকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন।

আবিদা ইসলামের ভাষায়, এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভাষা। স্প্যানিশ ভাষাটা রপ্ত করা জরুরি। কারণ, ইংরেজি ভাষায় আমি তাদের যতটা বোঝাতে পারব, তার চেয়ে বেশি বোঝাতে পারব তাদের ভাষায়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসতে পারেন। এ বিষয়ে কাজ করতে চাই। এখানে সম্ভাবনার সুযোগ অনেক। এসব নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম। ভালো কিছু করতে হলে কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা / ফাইল ছবি

দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই : নাহিদা রহমান সুমনা

ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন নাহিদা রহমান সুমনা। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করা এ কূটনীতিক কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালোবাসেন। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে শত বাধা বা কষ্ট সহ্য করতে রাজি আছেন। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে সুমনা বলেন, কূটনীতিক হিসেবে নিজেকে কখনও নারী ভাবিনি। একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করি।

‘সবসময় চেষ্টা করতাম পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করার, করতামও। কোনো বাড়তি সুযোগ নিতে চাইনি। নারী হিসেবে নয়, একজন কর্মকর্তা হিসেবে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’

এখনও নিজেকে সফল হিসেবে দাবি করতে নারাজ এ কূটনীতিক। বলেন, কোভিডের মধ্যে ব্রুনাইতে আসি। এখানে এসেই বাংলাদেশিকর্মীদের স্বার্থের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। বিশেষ করে গত বছর কোভিডের ডেল্টা ধরন দেখা দিলে ব্রুনাইতে কর্মরত ২০ হাজার বাংলাদেশিকে সুস্থ রাখার মতো কঠিন কাজ করতে হয়েছে। তাদের টিকার ব্যবস্থা করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনও এখানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে।

নিজের ইচ্ছা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে চাই। সেটা যেখানেই হোক, কষ্ট হলেও সবসময় প্রস্তুত আছি।’ বর্তমানে কোন বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন— জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, ‘বাংলাদেশিকর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্রুনাই সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার চেষ্টায় আছি।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শিশুযত্ন কক্ষের ব্যবস্থা করাটা এখনও তৃপ্তি দেয়— জানান সুমনা।
 
এনআই/এমএআর/