সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর/ ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, ‘পুলিশ কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেবে না। পুলিশ এ ক্ষেত্রে খুব কঠোর অবস্থানে আছে। যারা অপরাধ করছে তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয়, বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই তাদের।’

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মাল্টি-পারপাস শেডে গ্রেপ্তার হওয়া সিএমপির ছয় সদস্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, যত বড় দায়িত্বে থাকুক তার ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়ন আরও কঠোর হবে।’

এ কমিশনার বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ এর আগে, তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মাল্টি-পারপাস শেডে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবলরা সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন।

ওই ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। এদের সবাই সিএমপির এসএএফ শাখায় কর্মরত।

এর মধ্যে কনস্টেবল মোর্শেদ বিল্লাহ নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী ও কনস্টেবল মো. মাসুদ নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আনোয়ারা থানার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল মান্নানকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার পর ভোর ৫টার দিকে পটিয়া উপজেলায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ব্যবসায়ী অনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করলে ছয় কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 
এফআর