এক মাসে ৪০০-এর বেশি অভিযোগ ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপে
অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যা জানানোর পর তাৎক্ষণিক সমাধান দেয় ডিএনসিসি /ছবি- ঢাকা পোস্ট
‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ গত ১০ জানুয়ারি উদ্বোধনের পর থেকে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এক মাসে চার হাজার ৭৩ জন ডাউনলোড করেছে। অ্যাপটির মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার নগরবাসী মোট ৪২৯টি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। এর মধ্যে ৩১৮টি অভিযোগ অর্থাৎ ৭৪ শতাংশ অভিযোগের সমাধান দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সর্বোচ্চ অভিযোগের মধ্যে ১১৩টি অভিযোগ সড়ক মেরামত ও ম্যানহোল বিষয়ে পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৯৪টি অভিযোগের সমাধান দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৪টি অভিযোগ পাওয়া যায় সড়ক বাতি স্থাপন ও মেরামতের জন্য। যার মধ্যে ৯০টির সমাধান দেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৭৮টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২২টির সমাধান দেওয়া হয়েছে। মশা সংক্রান্ত ৫৭টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪৬টির সমাধান দেওয়া হয়। ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ৪৬টি অভিযোগের মধ্যে ৪২টির সমাধান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নর্দমা সম্পর্কিত মোট ৩৫টি অভিযোগের মধ্যে ২০টির মীমাংসা করা হয়। জলাবদ্ধতা নিয়ে পাওয়া তিনটি অভিযোগের সব কয়টির সমাধান দেওয়া হয়। পাবলিক টয়লেট সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগের মধ্যে একটির সমাধান করা হয়েছে। অনিষ্পন্ন মোট ১১১টি অভিযোগ বিভিন্ন মেয়াদে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হচ্ছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সর্বোচ্চ ৫৫টি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
সমাধানকৃত কয়েকটি অভিযোগের মধ্যে
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকদী বাজার রোডে একটি ম্যানহোলের ঢাকা খোলা– নাম প্রকাশ না করে একজন নগরবাসী অভিযোগ করেন। ডিএনসিসি অভিযোগটি তাৎক্ষণিক সমাধান করে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদাবর থেকে জনৈক মনসুর রেজা তার এলাকায় একটি সড়ক বাতি দীর্ঘদিন ধরে জ্বলে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগটি দ্রুত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
আগারগাঁও এলাকায় সড়কে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সম্পর্কে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুর রহমান চৌধুরী অ্যাপে জানান। অভিযোগটির দ্রুত সমাধান দেওয়া হয়।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিলক্ষেত নামাপাড়ার একজন বাসিন্দা মশা নিয়ে অভিযোগ করেন। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম ছাড়াও সেদিনই সেখানে মশার কীটনাশক ছিটানো হয়। এছাড়াও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর থেকে জনৈক ব্যক্তি সড়ক বাতি নিয়ে অভিযোগ করলে দ্রুত সমাধান দেওয়া হয়।
অ্যাপের বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির সব সেবা সহজে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। নগরবাসীর কাছে আরো জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে অ্যাপটি সম্পর্কে প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হবে।
এএসএস/ওএফ