জাতীয় সংসদ ভবন সচিবালয়ে এক নারীকর্মীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ওই ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ যথাযথ আইনে শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ভুক্তভোগী নারী সংসদ সচিবালয়ের কমিটি শাখা-৬ এর কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের অধীনস্থ কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনকালে ওই নারীকর্মীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম।

ওই ঘটনায় গত ২০ মার্চ নির্যাতনের শিকার নারী শেরে বাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য সচিবের বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। 

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ঘটনাগুলো উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মত কর্মস্থলে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে যা কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনের সচিবালয়ের কর্মকর্তা দ্বারা কর্মস্থলে এই ধরনের ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করা এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে প্রতিটি কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি গঠনসহ পৃথক আইন তৈরি এবং রায়ের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। 

এ ঘটনায় মহিলা পরিষদ নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ যথাযথ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া এবং নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানায়।

জেইউ/আইএসএইচ