রাজধানীর খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে (৩৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা অভিযুক্ত খলিলের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী ঢাকা পোস্টকে জানান, আমি সৌদি আরব যাওয়ার জন্য গত বছর দালাল খলিলের কাছে এক লাখ টাকা দেই। পরে সে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে ঘোরাতে থাকে। পরে সে আমাকে খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি পেছনের তার বাসায় ডাকে। সেখানে সে আমাকে গত বছর অক্টোবর মাসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কথা আমি কাউকে বলে দিলে টাকাও ফেরত দেবে না ও সৌদি আরবে নিয়ে যাবে না বলে জানায় সে। এরপর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আবারও সে আমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দালাল খলিল আমাকে বিয়ে করতে চায়। পরে সে পালিয়ে যায়। এরপর আজ আমার বাবা বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে পুলিশ আমাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে জানান, বিদেশে যাওয়ার প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার নারী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে খলিল নামে একজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২৭) করেছেন। অভিযুক্ত খলিলকে গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

এসএএ/এসএসএইচ